December 22, 2024, 12:11 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করা আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ জনে। আজ সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে হৃদয় হোসেন, (২১) ও সবুজ হোসেন (২৩) নামে দুজনের মৃত্যু হয়। এর আগে ভোররাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ৩ জনের। এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ৫ জন। এদের মধ্যে তিনজন এখনও অচেতন।
সকালে যারা মৃত্যু বরণ করেনন তারা হলেন শাহিনুর রশিদ (৪৭), রতন সেখ (২১) ও সিফাতুল আলম।
এদের মধ্যে সিফাতুল কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক।
এরা কেউ কেউ মিলিতভাবে কেউ পৃথকভাবে এই অ্যালকোহল ক্রয় ও পান করেছিল।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান রোববার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকজন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হবার খবর পান তারা।
তাদের মধ্য থেকে রোববার ভোররাতে শাহিন, রতন ও সিফাতুল নামের তিনজনের মৃত্যু হয়।
এসময় একই হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন নামে বেনামে আরও ১০ জন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপতালের আরএমও ডা. তাপস কুমার সরকার জানান তারা মুলত স্পিরিট পান করে। যা ছিল রেক্টিফাইড। সেখান থেকেই বিষক্রিয়া ঘটে।
এদিকে এই মৃত্যুর পর পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে ঐ অ্যালকোহলের উৎস ছিল কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ সুইপার কলোনি।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম জানান তথ্য অনুযায়ী মৃতরা সুইপার কলোনিতে বসে অথবা অন্য কোথাও ঐ অ্যালকোহল পান করেছিলেন।
পুলিশের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, এরা সবাই ঐ কলোনির নিয়মিত খরিদ্দার ছিলেন। সেখানে গিয়ে মদ পান করতেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান ঐ দিন রাতে মোট ৩০ থেকে ৩৫ জন ঐ কলোনি থেকে বিভিন্ন ধরনের মদ সংগ্রহ করেছিল।
মদ সংগ্রহকারীরা বিভিন্ন স্থানে বসে মদ পান করেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার জানান গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হবার পর তারা হাসপাতালে আসে। এসময় এরকম সাতজনকে রোববার রাত ৯টা থেকে দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও এর বাইরেও কেউ অসুস্থ রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply